রামু উপজেলায় খুরশিদা বেগম (১৪) নামের এক কিশোরীকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার পর হত্যাকারী কিশোর মুফিজুর রহমান (১৭) নিজেও ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের গোয়ালিয়া পালং এর টাইংগাকাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত খুরশিদা বেগম ওই এলাকার মোহাম্মদ হোসেনের মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খুনিয়াপালং ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুল মাবুদ জানান, খুরশিদাকে নিজ বাড়িতে ঢুকে মুফিজুর রহমান জবাই করে হত্যা করে। ঘটনার পর বাড়ির বাইরে এসে মুফিজুর রহমান নিজে ছুরি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
দুইজনের পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। হয়তো সেখান থেকে মনোমালিন্য হওয়ার কারণে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে ধারণা করা হচ্ছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, এক কিশোরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এক যুবককে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।