দিসিএম ডেস্ক
ঢাকা: ব্যাপক কারচুপি, জাল ভোট, এজেন্টদের বের করে দেয়া, কেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগে বরিশাল সিটি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, বাসদ ও সিপিবি’র মেয়র প্রার্থীরা।
সোমবার (৩০ জুলাই) বেলা ১১টার পর থেকে পৃথকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তারা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ওবায়দুর রহমান মাহবুব। এরপর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়ান বিএনপির মেয়রপ্রার্থী মজিবর রহমান সরওয়ার। এর পরপরই জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের মনিষা চক্রবর্তী এবং কমিউনিস্ট পার্টি বাংলাদেশ-সিপিবির প্রার্থী অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ।
বর্জনের ঘোষণার দেয়ার পরপরই এসব প্রার্থীর সমর্থকরা নগরীতে ব্যাপক বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে এখনো পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর সংবাদ পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে নগর জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিএনপি, ইসলামী আন্দোলন এবং বাসদ-সিপিবি’র একাধিক মিছিল নগরীতে ‘ভোট চোর, ভোট চোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় বিজিবিসহ প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সরওয়ার অভিযোগ করেন- গাজীপুর ও খুলনায় ভোটগ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হলেও বরিশালে ভোট শুরুই করা হয়নি। ৭০ থেকে ৮০টি কেন্দ্রে ভোট শুরু না হতেই ব্যালটে নৌকার সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি ও অন্য দলের কোনো প্রার্থীর এজেন্টদের ভোটকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।
ওবায়দুর রহমান অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনি এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ডিজিটাল কারচুপি, নৌকার পক্ষে সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দিচ্ছি।’