অনলাইন ডেস্ক:
বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে হয়তো খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে না মিসরের রাজাখ্যাত মোহাম্মদ সালাহর। শনিবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে কাঁধে চোট পাওয়ার কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ২৫ বছর বয়সী এ তারকা। চিকিৎসকরা বলেছেন, বেশ লম্বা সময় সালাহকে বিশ্রাম ও চিকিৎসা নিতে হবে।
ম্যাচ শুরু হওয়ার ৩০ মিনিটের সময় ঘটে ঘটনাটা। মাঠের লড়াই জমেছে ততক্ষণে। সেসময় মোহামেদ সালাহকে এমনভাবে টেনে ফেলে দিলেন রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস যে, লিভারপুল তারকা উঠে দাঁড়িয়েই বুঝে গেলেন আর খেলা হচ্ছে না তার। পরে কাঁধের চোটে কাঁদতে কাঁদতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল তো ছেড়েছেনই, শঙ্কা জেগেছে মিশরীয় ফরোয়ার্ডের বিশ্বকাপে খেলা নিয়েও!
পড়েই কাতরাচ্ছিলেন, উঠে চোটটা আরও ভালোভাবে বুঝে গেলেন সালাহ। ফিজিওর সাহায্যে কিছুক্ষণ প্রাথমিক চিকিৎসা চলল। মাঠেও ফিরেছিলেন খানিক পর। পরক্ষণেই আবার ডেকে পাঠান ফিজিওকে। চোখের জলে বুঝিয়ে দিলেন আর খেলতে পারবেন না।
তবে এমন ট্যাকল করার পরও পার পেয়ে গেছেন রামোস। কোনো প্রকার কার্ডও তাকে দেখাননি রেফারি।
রামোসের এমন ফাউলের পর ঝড় উঠেছে টুইটার-ফেসবুকে। ডেইলি মিররের ক্রীড়া সাংবাদিক ডেভিড মাডক সরাসরি আসামির কাঠগড়ায় তুলেছেন রিয়াল অধিনায়ককে। তার দাবি- জেনেশুনে ইচ্ছে করেই একটি দল-দেশের স্বপ্ন নষ্ট করে দিয়েছেন রামোস।
‘বিশ্বাস করুন, রামোসের মতো খেলোয়াড়ের কাছ থেকে এমন জঘন্য বিষয় কখনোই আশা করিনি। সে ভয়ঙ্কর, উন্মাদের মতো এক ফাউলে সালাহর রাতটাই ধ্বংস করে দিয়েছে, খুব সম্ভবত তার বিশ্বকাপটাও। বিশ্বাস করুন, তাকে দেখেই বোঝা গেছে; কী করছিল। ঠাণ্ডা মাথায় ইচ্ছে করেই হাত দিয়ে চেপে সালাহর কাঁধ মাটিতে ফেলেছে। এটা লাল কার্ডেরও বড় অপরাধ।’
চোট কতটা গুরুতর সেটা এখন পর্যন্ত বোঝা না গেলেও সালাহর কাঁধের হাড় সরে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোতে। লিভারপুল দলের চিকিৎসকদের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের সূত্র ধরেই বলা হচ্ছে সালাহর বিশ্বকাপ হয়ত শেষই!
২৮ বছর পর মিশরকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে তুলেছিলেন সালাহ। তার কাঁধেই ছিল অধিনায়কের ভার। এখন সেই অধিনায়কের কাঁধই হতে পারে মিশরের ফুটবল ভক্তের সম্ভাব্য দুঃখের কারণ।