এই পুতুলটি কোনো কৃত্রিম পুতুল নয়। এটি বাংলা সঙ্গীতে এক অনবদ্য ইতিহাস। বলছি বাংলা সঙ্গীতের অনন্য গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ-এর গাওয়া ‘পুতুল’ গানের কথা।এই গানের মাধ্যমেই তারাদের তারা হয়েছেন তিনি।
১৯৮২ সালে প্রকাশিত হয় কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া ‘পুতুল’ গানটি। আবদুল্লাহ আল মামুনের কথায় গানটির সুর করেছেন নকিব খান। বিটিভিতে ‘শিউলীমালা’ অনুষ্ঠানে কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া গানটি প্রথম প্রচারিত হয়। এরপর থেকেই আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি কিংবদন্তি এই গায়ককে।
এ সম্পর্কে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘এটা একজন শিল্পীর জন্য পরম পাওয়া। একটা গান দুই বা তিনটা জেনারেশনকে ছুঁতে যখন পারে,তখন শিল্পী হিসেবে আমার আনন্দের। একটা গানের সবচেয়ে বড় স্বার্থকতা হলো তার স্থায়িত্ব। শৈশব থেকে একজন মানুষ একজন মানুষকে ভালোবাসার নিটল গল্পটা কাব্যিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে এই গানে। অনেক গান হয়তো অগোচরে হারিয়ে যায়। গ্রহণযোগ্যতা একটা লাকের ব্যাপার।’
গানটি সম্পর্কে কুমার বিশ্বজিৎ আরও বলেন,‘টিভিতে আল মুনসুর-এর শিউলীমালা নামে একটা অনুষ্ঠান ছিল। টেলিভিশনের নিয়ম অনুযায়ী অন্য শিল্পীর মতোই আমার গানটাও রেকর্ডিং হওয়ার কথা ছিল। সবার গান করতে করতে আমার গানের জন্য সময় ছিল না। আমাকে বলা হলো, তোমার গান যদি করতে হয় তুমি নিজের মতো করে নিয়ে আসো। আমরা আর সময় পাবো না। তখন রাজধানীর তেজকুনিপাড়া ঝংকার স্টুডিওতে গিয়ে গানটি রেকর্ডিং হয়।’
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন,‘গানটি বিটিভিতে প্রচারের পর ইতিহাস হয়ে গেলো। আমাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর গানটি আমার অ্যালবামে রিলিজ হয়। আমার ব্যস্ততা বাড়তে থাকলো। আমি অডিও এবং চলচ্চিত্রে গান গাওয়া শুরু করলাম। এই গানটা আমার মনোবল বাড়িয়েছে। আমার স্বপ্নে সিঁড়িটা দিয়েছে এই গান। আমি এখনো কাজ করে যেতে পারছি,এটা আমার সৌভাগ্যের বিষয়।’