আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আঙ্কারা: দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এরদোগান তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়।
ইসরাইলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য কর মঙ্গলবার এরদোগান তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এ কথা লিখেন।
টুইটারে এরদোগান লিখেছেন, ‘নেতানিয়াহু আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী নয়। এটি একটি প্রতিরোধ আন্দোলন। এটি দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলন।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি তাদের অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে আজ একতাবদ্ধ।’
প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৬২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা এটি।
গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর এই হত্যাযজ্ঞের পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত লেগে আছে।’
সোমবার লন্ডনে তুর্কি ছাত্রদের এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষনে এরদোগান বলেছিলেন, ‘ইসরাইল একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। ইসরাইল আজ যা করেছে তা একটি গণহত্যা। আমি এই মানবিক নাটক, গণহত্যা- ইসরাইল বা আমেরিকার যে পক্ষ থেকেই আসুক না কেন এর নিন্দা করি।’
এরদোগান আরো বলেছিলেন, ‘আমরা আজকের দিনটিতে মুসলিম বিশ্বের জেরুজালেম হারানোর অনুমতি দেব না।’
গাজার গণহত্যাকে মানবিক ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন।
গত সপ্তাহব্যাপী চলা ‘রিটার্ন মার্চ’ বা নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তার নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করলে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখান।
ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞে নিহত ৬০ মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে। এছাড়াও, আহত হয়েছেন দু হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর থেকে ইসরাইল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমে তারা গড়ে তুলেছে দু’লাখ ইহুদির জন্যে বহু বসতি। আন্তর্জাতিক আইনে এসব বসতি অবৈধ।
একসময় জেরুজালেমে বহু দেশের দূতাবাস ছিলো। কিন্তু ১৯৮০ সালে ইসরাইল জেরুসালেমকে রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করার পর বহু দেশ সেখান থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে নেয়।
কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বর মাসে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তথ্যসূত্র: আনাদুলো এজেন্সি