মারিও ভিল্লাভারায়ান মুগ্ধ বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের ফিটনেস সচেতনতায়। জাতীয় দলের খেলা নেই সেই মার্চ থেকে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজকে সামনে রেখে শুরু হওয়া কন্ডিশনিং ক্যাম্পের প্রথম দিনে এসেই অবাক জাতীয় দলের ট্রেনার। এই সময়টা ফিটনেস নিয়ে নিজেরাই কাজ করেছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। নিজের দায়িত্বের চার বছর পূর্তি হওয়ার সময়ে ক্রিকেটারদের এই ব্যাপারটা মুগ্ধতাই ছড়াচ্ছে ভিল্লাভারায়ানের মধ্যে, ‘গত চার বছরে ক্রিকেটারদের মনোভাবে বড় পরিবর্তন এসেছে। আজ সকালেই ক্রিকেটারদের এই কথাটা বলছিলাম। ২০১৪ সালের মে মাসে আমি দায়িত্ব নিয়েছি। চার বছর হয়ে গেল। সময়টা খুব ভালো গেল। আমি যখন কলম্বোয় থাকি, তখনো আমি সেখান থেকে শুনি তামিম ইকবালসহ অন্যান্য ক্রিকেটার নিজেদের মতো করে ফিটনেস অনুশীলন করছে। এটা আমাকে খুব আনন্দ দেয়। আমি এটাই চাই। আমি শুরু থেকেই চেয়েছি খেলোয়াড়েরা নিজেদের দায়িত্বটা নিজেরাই নিক। শুরুতে ওদের শিখিয়েছি। আমি যখন এখানে থাকব না, তখনো আমি চাইব ওরা এভাবেই নিজেদের কাজটা নিজেরা করে যাক।’
কন্ডিশনিং ক্যাম্পের শুরুতেই বেশ কয়েকজন চোটগ্রস্ত ক্রিকেটারকে পাচ্ছেন ভিল্লাভারায়ান। তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ ও তামিম ইকবাল—সবাই তারকা। এঁদের সুস্থতার জন্য কী করছেন এই লঙ্কান ট্রেনার? আশার কথাই শুনিয়েছেন তিনি, ‘সবাই সুস্থ হয়ে উঠছে, তাদের যা করা উচিত, সেটাই তারা করছে। সবাই রানিং শুরু করেছে। অবশ্য তামিমের প্রক্রিয়াটা একটু ভিন্ন। সে আলাদাভাবে কাজ করেছে।’
অনুশীলনের সময় ফুটবল খেলে অনেকেই চোটগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যাপারটা চিন্তার। ভিল্লাভারায়ান অবশ্য মনে করেন যারা চোটে পড়েছে, তারা নিজেদের কারণেই পড়েছে, ‘আমি চার বছর ধরে এখানে আছি। এই সময় মোস্তাফিজ একবার চোটে পড়েছে। যদিও সে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়েনি। হাঁটার সময় পা মচকেছে। আমি যতক্ষণ আছি, ততক্ষণ তাদের একটা নির্দিষ্ট নিয়মের মধ্যে খেলতে হয়। সেখানে রাফ খেলা যায় না। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সময় তারা যদি এ ধরনরে চোটে পড়ে, তাহলে আমার কিছুই করার থাকে না। ফুটবল খেলাটা ঝুঁকির বিষয়, এটা আমি জানি, তাই ব্যাপারটা ঠিকঠাক যেন হয়, সেদিকে আমাদের নজর থাকে।’