এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) কমিশনার মো. মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবে দেওয়া বিজ্ঞাপনের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) কেটে নেওয়ার জন্য আমরা ব্যাংকগুলোকে চিঠি দিয়েছি। প্রাথমিকভাবে এখন ব্যাংকগুলো ভ্যাট কেটে এনবিআরে জমা দেবে। পরে আমরা ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবকে সরাসরি করের আওতায় নিয়ে আসবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকিং চ্যানেলের বাইরে অন্য কোনও চ্যানেলে যাতে বিজ্ঞাপনের অর্থ না যায়, সে ব্যাপারে নজরদারি করা হবে। আর দেশের কেউ বাইরে গিয়ে যদি ফেসবুক, গুগল ও ইউটিউবের বিজ্ঞাপনের জন্য অর্থ জমা দেয়, সেটা মানি লন্ডারিং হবে।’
এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা মূলত যেসব প্রতিষ্ঠান অনলাইনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, তাদের কাছ থেকে ভ্যাট আদায় করব। তবে বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্মগুলো যেন বাংলাদেশে নিবন্ধন নিয়ে কার্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা করে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’
ঢাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের হাব অফিস স্থাপনে কাজ চলছে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘যেহেতু প্রতিষ্ঠানগুলো বিদেশি, সেহেতু বাংলাদেশে তাদের নিবন্ধন নিতে হবে। কিভাবে নিবন্ধন হবে, সেটা দেখতে হবে। বিদেশি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আমাদের সঙ্গে এরইমধ্যে যোগাযোগ করেছে।’
এর আগে গত ৪ এপ্রিল এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদপত্রশিল্প মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) এবং অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) নেতাদের নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় ফেসবুক, ইউটিউব এবং গুগলকে করের আওতায় আনার কথা বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান। নোয়াব নেতাদের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে তিনি এ ব্যাপারে মত দেন।