দিসিএম ডেস্ক
মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের অনুমতিকে কেন্দ্র করে হবিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সিএনজি শ্রমিকদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ১৫ পুলিশসহ অর্ধশতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ১৫ পুলিশ সদস্যকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে গ্রেফতার আতঙ্কে শ্রমিকরা হাসপাতালে আসছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিকল্পভাবে বিভিন্ন ক্লিনিকে আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনার মহাসড়কে অবরোধ ও টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নছরতপুরে মহাসড়কে সিএনজি চলাচলের দাবিতে মানববন্ধন করেন শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে শ্রমিকরা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধের চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে শ্রমিকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেন।
এদিকে সংঘর্ষের সময় গুরুতর আহত অবস্থায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই দেলোয়ার হোসেনসহ ১৫ পুলিশ সদস্যকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে পুলিশের রাবার বুলেটে আহত শ্রমিকরা গ্রেফতার আতঙ্কে সদর হাসপাতালে আসতে পারছেন না। শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা বিকল্প ব্যবস্থায় বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার বিধান ত্রিপুরা ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূইয়া। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসম শামছুর রহমান ভূইয়া জানান, শ্রমিকরা রাস্তা অবরোধ করলেও পুলিশ অবরোধ সরানোর চেষ্টা করে। এ সময় শ্রমিকরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তিনি বলেন, ‘কয়জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। আরও কয়েকজনকে হাসপাতালে আনা হতে পারে।’