নিউজ ডেস্ক।।
জাতীয় পার্টি, যুক্তফ্রন্ট ও বাম জোটের নেতারা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, নিশ্চয় দেশে উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু সমগ্র জনজীবনের উপর কি ধরনের প্রভাব পড়ছে, দীর্ঘস্থায়ী টেকসই হচ্ছে কিনা-এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কোনো রাষ্ট্রের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
শনিবার জাপা, যুক্তফ্রন্ট ও বাম জোটের নেতারা এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াসহ আইনের উর্ধ্বে আমরা কেউ নয়। তিনি লড়াইয়ে আছেন, এখনো শেষ হয়নি। চূড়ান্ত লড়াইয়ে তারা কোথায় থাকবেন?
তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশে কখনো দু’টো জিনিস একত্রে হচ্ছে না। উন্নয়ন ও গণতন্ত্র এক সঙ্গে হয়নি। স্বৈরতান্ত্রিক কার্যক্রম দেশে বার বার ঘটছে। এরপর আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের এ ব্যাপারে প্রত্যাশা থাকবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জেলে রেখে বা কৌশলে কোনো দলকে নির্বাচনের বাইরে রাখার কৌশল জনগণ মেনে নেবে না।
তিনি আরো বলেন, নিশ্চয় দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, কিন্তু সমগ্র জনজীবনের উপর কি ধরনের প্রভাব পড়ছে, দীর্ঘস্থায়ী টেকসই হচ্ছে কিনা-এসব বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে। গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন কোন রাষ্ট্রের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
যুক্তফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে বাস্তবিক পক্ষে কোন উন্নয়ন হচ্ছে না। দেশ উন্নয়নশীল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে, এটা একটা প্রতারণামূলক। আমরা টেস্ট পরীক্ষায় পাশ করেছি, ফাইনাল পরীক্ষা হবে ৬ বছর পরে। এই উন্নয়নের স্লোগান এক তরফা নির্বাচন বৈধ করার ধান্ধা মাত্র।
গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার প্রধান সমন্বয়ক মোশরেফা মিশু বলেন, দেশে বিরোধীদল বিএনপি ও বামপন্থীদের সরকার রাজধানীতে সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। এটা স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয়ে গেছে। দেশে গণতন্ত্র না থাকলে এ উন্নয়ন কার স্বার্থে হচ্ছে? দেশে এখন গণতন্ত্রের অবস্থা খুবই খারাপ।
বাংরাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে ঘোষণা অনেক কানা ছেলের পদ্মলোচনের মতো। তবে তকমা বজায় রাখায় বাংলাদেশকে আরো ৫ থেকে ৭ বছরের মধ্যে উন্নয়ন অনেক প্যারামিটার অর্জন করতে হবে।